রফিকুল ইসলাম জসিম :
প্রতিটি শিশুদের সুন্দর জীবন গঠনের অধিকার রয়েছে। এতিম, অসহায় দরিদ্র শিশুরা সমাজেরই অংশ। তাদের বেঁচে থাকার জন্য শিক্ষা, বাসস্থান ও বস্ত্রসহ ইত্যাাদি দিয়ে সহযোগিতা, সহমর্মিতা মনোভাব নিয়ে পাশে দাঁড়াতে হবে। আমাদের সন্তানের মত তাদেরকে মনে করতে হবে। নিজ বাবা-মার মতোই ভালোবাসাতে হবে। এর মাধ্যমে তাদের মধ্যে বাবা-মার অভাব কিছুটা হলেও পূরণ হবে। এই শিশুদের মুখে হাসি ফুটানো একটি সওয়াবের কাজ।
বাংলাদেশ মণিপুরি মুসলিম সেবা সংস্থা’র উদ্যোগে আজ শনিবার (২৪ অক্টোবর) দুপুর ১২ টায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর বাজার হাফিজিয়া মাদ্রাসার এতিম, অসহায় শিশুদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ কালে বক্তারা এ কথা বলেন।
আদমপুর বাজার হাফিজিয়া মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মাওলানা নূর মোহাম্মদ সঞ্চালনায় মাদ্রাসার মুহতামিম হাফেজ মোঃ জমসেদ আলীর সভাপতিত্বে বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ্ব ডাঃ কায়াম উদ্দিন প্রধান অতিথি হয়ে নবগঠিত বাংলাদেশ মণিপুরি মুসলিম সেবা সংস্থা কার্যক্রম শুরু করেন৷
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ উলামা ঐক্য পরিষদের আহবায়ক হযরত মাওলানা জুবায়ের আহমদ, বাংলাদেশ মণিপুরি মুসলিম মক্তব ও কোরআন শিক্ষা সংগঠনের সভাপতি মাওলানা গোলাম রাব্বানী। বাংলাদেশ মণিপুরি মুসলিম ইমাম সমিতি সহ সাংগঠনিক মাওলানা হাসান আহমদ, আদমপুর বাজার হাফিজিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সমাজসেবক আনোয়ার হোসেন বাবু। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রফিকুল ইসলাম জসিম, মিসবাহ উদ্দিন শিবলু, আব্দুল মজিদ খান প্রমুখ।
পরিশেষে সদ্য প্রয়াত মণিপুরি মুসলিম সামাজের প্রখ্যাত আলেম দ্বীন ও বিশিষ্ট ইসলামিক বক্তা মরহুম হাফেজ মোঃ বখসেদ আলী (খুনাও হাফিজ) রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করেন৷ গত ২০ অক্টোবর দিনটি ছিল মুসলিম উম্মাহর জন্য বেদনাদায়ক দিন। সেদিন দুপুর আনুমানিক দেড় ঘটিকায় সড়ক দুর্ঘটনায় এ ক্ষণস্থায়ী পৃথিবী ছেড়ে মাওলাপাকের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন
হাফেজ মোঃ বখসেদ আলী (খুনাও হাফিজ)।
বস্ত্র বিতরণ সময় সেবা সংস্থা সংশ্লিষ্টরা জনায়, আমরা চাইনা কোন প্রচার প্রচারণা কিন্তু আমাদের মতো অন্যজনকে এসব কাজে অনুপ্রানিত করতে এ প্রয়াস। সমাজের অসহায় ও দরিদ্র মানুষের পাঁশে দাঁড়ানোই আমাদের লক্ষ্য। ইতিমধ্যে নানামূখী সহযোগিতার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পথশিশু, অসহায় মানুষ ও এতিমদের পাশে দাঁড়াতে মূলত আমাদের যাত্রা। সকলের দোয়া ও ভালোবাসা চাই।
পৃথিবীর ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবন আমাদের সর্বোত্তম আদর্শ। আর্থ-সামাজিক কাজে তিনি যেভাবে সম্পৃক্ত হয়ে মানবতার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছেন, প্রত্যেক মুসলমানকে সেভাবে সমাজসেবায় এগিয়ে আসা উচিত। সর্বোপরি সমাজসেবা একটি ইবাদত। এ সেবার মাধ্যমে সমাজে হিংসা-বিদ্বেষের মতো অধঃপতিত কাজ থেকে বেঁচে থাকা যায়। তাছাড়া এ সেবা কার্যক্রম প্রত্যেকেই চালিয়ে যেতে পারে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন